বাংলাদেশের উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে জাপানের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সেইসাথে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় যে মানবিক ও রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার টেকসই ও আশু সমাধানের আশ্বান দিয়েছেন বন্ধুপ্রতিম দেশটি।
বুধবার (২৯ মে) টোকিওতে জাপান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি আমরা। এ লক্ষ্য পূরণে জাপান আমাদের পাশে থাকবে ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী আবে আমাকে নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হাসিনা জানান, জাপান বুঝতে পেরেছে যে এ সংকটের সমাধান বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর নিজ দেশ মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরার মধ্যে নিহিত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর ফেরার জন্য মিয়ানমারের দরকার তাদের রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। এ সংকট সামাল দেওয়ায় উদার সমর্থন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে প্রচেষ্টার জন্য আমি জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জাপানের জন্য ‘বিশেষ জায়গা’ রয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা স্বাধীনতার পর থেকেই জাপানের সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। জাপানের ঐতিহাসিক উন্নয়ন থেকে তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলতে পারি যে, সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এখন আমরা সঠিক পথ ধরেই এগিয়ে চলেছি।
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ প্রসারে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ৪০তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজ সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা ও শিনজো আবে। এ ঋণ প্যাকেজের জন্য আবেকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।