মিয়ানমার থেকে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হওয়ায় তা ঠেকানোর জন্যে বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর কোনো রোহিঙ্গা বা মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোনেম।
তিনি আরও জানাআন, সেখানে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মূলত রাখাইন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও মিয়ানমার আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে রোহিঙ্গাদের পর এবার বৌদ্ধ ও অন্যান্য এথনিক গ্রুপ দেশ ছাড়ছে। তারা নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আসছে। তবে আমরা বর্ডার সিল করে দিয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটা সময় পর্যাপ্ত রোহিঙ্গার জন্য সীমান্ত খোলা রেখেছিলাম। নতুন করে আর নিতে চাই না। তাই আমাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য অন্য দেশগুলোর সীমান্ত খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা ভালো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জোলি বিশ্বের ‘অন্যতম কণ্ঠস্বর’। তাকে (জোলি) বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায়। বাংলাদেশ চায়, রোহিঙ্গারা নিরাপদে তাদের নিজ দেশ নিজ বাসভূমিতে (রাখাইনে) চলে যাক। জোলি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ওনার সব জায়গাতেই এক্সেস রয়েছে। মিয়ানমার এত বড় অপরাধ করেছে। অথচ সব বড় বড় দেশ মিয়ানামারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে।
মন্ত্রী বলেন, খবর পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। সেখান থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম ছাড়াও বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রাণভয়ে পালাচ্ছে। এরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।