ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে ৪০টিরও বেশি দেশ আকাশ পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আটকে আছে ইউরোপের পণ্যবাহী সব ট্রাক। এতে ব্রিটেনের খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুনরায় ব্যবসা বাণিজ্য ও ভ্রমণের জন্য ফ্রান্সের সীমান্তবর্তী কেন্ট বন্দর খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। এ সীমান্তেই আটকে আছে দেড় হাজার ট্রাক। খবর : বিবিসি।
করোনার নতুন ধরন শনাক্তের পর গত রোববার অন্য দেশগুলোর মতো ফ্রান্সও ৪৮ ঘণ্টার জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক চলাচল করে দেশ দুটির মধ্যে। দু’দেশের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্যপণ্য বহনকারী হাজার হাজার ট্রাক যাতায়াত না করলে অচিরেই মহাখাদ্য সংকটে পড়বে ব্রিটেন। এছাড়া ফ্রান্স থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের চালকদের অনেকেই ব্রিটেনে প্রবেশ করতে চাচ্ছে না। তাদের ভাষ্য ‘খাদ্য সরবরাহ করতে গিয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে ঘরে ফিরবেন’। এ আশঙ্কায় ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ফ্রেশ ফুড আসার সম্ভাবনা কমছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার মন্ত্রী, পার্লামেন্ট সদস্য, সেনা কর্মকর্তা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছেন। এ বৈঠক থেকেই বড়দিনের খাদ্য সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করার কথা। বরিস জনসন বলেন, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রে না আসলে ব্রিটেনের জন্য বিরাট সমস্যা দেখা দেবে। খাদ্য সংকট ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি জনসাধারণের জীবন রক্ষাও হুমকির মুখে পড়বে তাই সবাইকে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।