তিব্বতসহ চীনের মূল ভূখণ্ডের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনোভাইরাস। ইতোমধ্যে আরও ১৬টি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনোভাইরাসে বুধবার নাগাদ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৭১১ জন।
বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভাইরাস বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার সৃষ্টি করেছে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ এইচ ও )।
ডাব্লিউ এইচ ও ’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বুধবার বলেছেন, ‘গত কয়েক দিনে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া, বিশেষ করে কিছু দেশে এবং মানুষ থেকে মানুষ সংক্রমণ আমাদের উদ্বিগ্ন করছে।’
তিনি বলেন, ‘যদিও চীনের বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম, তবুও এটার ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক এবং ভ্যাকসিন নেই। আক্রান্তদের মধ্যে যাদের হালকা লক্ষণ থাকে, তারা সেরে উঠতে পারেন।
তবে এটি কঠিন শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ সৃষ্টি করলে মৃত্যু হতে পারে। দেখা গেছে, মৃতদের অধিকাংশই বয়স্ক যাদের আগে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত বা অন্যান্য জটিলতা ছিল।