জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আরোহীদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ এখনো প্রমোদতরীর সব যাত্রীর পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। মাত্র ৩০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। খবর বিবিসি।
আগে থেকেই জাপানে এই ভাইরাসে ২০ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।তবে নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কানাগাওয়া এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো এ কথা জানিয়েছেন।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাটো জানান, এর আগে সেই জাহাজের একজন যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে যারা দেখা করেছিলেন ও একটু অস্বস্তিতে রয়েছেন, এ রকম ৩০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ১০ জনের মধ্যে তিনজন জাপানের নাগরিক। ওই ১০ জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জাপান সরকার বলছে, সেই জাহাজে অন্তত ১৪ দিন যাত্রীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১৪ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ ঘটনায় জাপানে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হূদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি নিউমোনিয়া, শ্বসনযন্ত্রের ব্যর্থতা বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে মোড় নিতে পারে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।