চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা হয়। ৩১ ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে প্রথম চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
আর চীনের সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাস এ মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৭৫ ও আক্রান্ত ৭১৩২৭ জন। যেহেতু এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি , তাই সাবধানতাই একমাত্র সমাধান।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। এর সঙ্গে হতে পারে নিউমোনিয়াও।
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এ ভাইরাসটি একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে। করোনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণত ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। এই ভাইরাসটি মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়।
করোনা ভাইরাস থেকে সাবধান থাকার উপায় সম্পর্কে…
* ঘরের বাইরে যখনই বের হবেন, মাস্ক ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
* ঘরে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত-মুখ ধুয়ে নিন।
* কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
* ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় ভালো করে সেদ্ধ করুন।
* ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।
* উচ্চ তাপমাত্রায় ভালভাবে ব্যবহারের কাপড় শুকিয়ে নিন।
* প্রচুর ফলের রস এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
* গণপরিবহন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
*নিয়মিত থাকার ঘর এবং কাজের জায়গা পরিষ্কার করুন।
* বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন।
*ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে পারেন যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।