সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর নেতৃত্বে পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানেই শীর্ষ নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে চীনের প্রচেষ্টায় ‘ঘাটতি’ ছিল।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, সোমবার রাতে পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনাভাইরাস প্রতিহত করার চলমান প্রচেষ্টাকে চীনের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বলে আখ্যা দেওয়া হয় এবং বলা হয় এ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করতে গিয়ে যেসব ‘অক্ষমতা ও ঘাটতি’ স্পষ্ট হয়েছে, সেগুলোর প্রেক্ষিতে, আমাদেরকে অবশ্যই জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নতি করতে হবে। সেই সাথে জরুরি ও ভয়ঙ্কর কাজগুলো মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
এতে আরো বলা হয়, ‘বাজার পর্যবেক্ষণ আরো জোরদার করা, বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাজার ও বাণিজ্যের ওপর দ্ব্যর্থহীনভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং কঠোর অভিযান পরিচালনা করা জরুরি।’
পলিটব্যুরো স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে, উহান ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবেই গণ্য হবে এবং সেখানে আরো স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে।
মহামারি প্রতিরোধে নিজেদের ভূমিকার পূর্ণ দায়ভার কর্মকর্তাদের নেওয়া উচিত উল্লেখ করে কমিটি হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, যারা নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
পলিটব্যুরোর কাছ থেকে এমন খোলামেলা স্বীকারোক্তি ‘বিরল’ বলে এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে আরেক প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি। বৈঠকে চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নতির আহ্বান জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। একইসঙ্গে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাজারগুলোর বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। ধারণা করা হয় এই বাজারগুলো থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শুরু হয়।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর চীন যেভাবে ভাইরাসটি প্রতিহত করেছে সেটার নানা দিক নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। শুরুর দিকে কর্মকর্তারা ভাইরাসটির ভয়াবহতা খাটো করে দেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খবর গোপন করার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।