দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ে আরও ২৬ জন মারা গেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। একই সময়ে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে টানা ১১ দিনের মতো করোনা সংক্রমণ হাজারের ঘর ছাড়াল। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৫৭৭ জন।
শনিবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা নিয়মিত স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৬ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৬৮ জন। করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ৫ লাখ ২০ ৭১৮ জন।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি আরটি-পিসিআর, জিন-এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে মোট ২১৯টি ল্যাবরেটরিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৯২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৯শটি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ১১টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থপানায় ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ লাখ ৪১ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এর মধ্যে ১ হাজার ৮৬৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন ৫ লাখ ২০ হাজার ৭১৮ জন। সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২৬ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন, তার মধ্যে ১৯ জন পুরুষ, সাত জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন ষাটোর্ধ্ব। বাকি ১৩ জনের মধ্যে ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, চার জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। অন্যদিকে, এই ২৬ জনের মধ্যে ১৬ জন ঢাকা বিভাগের, চার জন চট্টগ্রাম বিভাগের। বাকি ছয় বিভাগের প্রতিটিতেই একজন করে মারা গেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৬১ লাখ ২ হাজার ৬৬০ জন। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত দেশে এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৪ জন। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার (১৯ মার্চ) দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল।