যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করেছে বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন। মডার্না, বায়োটেক ও ফাইজারের পর যুক্তরাষ্ট্রে বড় পরিসরে ট্রায়াল শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ট্রায়ালে প্রায় ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন জনসনের ভ্যাকসিন গ্রুপের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টোফেলস। তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের এ পরীক্ষা থেকে এ ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকর ও নিরাপদ তা জানা যাবে। খবর: বিবিসি ও রয়টার্স।
এছাড়া চলতি বছরের শেষের দিকেই এ ফলাফল চলে আসবে এবং আগামী বছর এ ভ্যাকসিনের এক বিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে আরও তিনটি ভ্যাকসিন চলতি গ্রীষ্মের শুরুতেই তাদের ট্রায়াল শুরু করেছে। তবে জনসনের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনটি অন্যদের চেয়ে আলাদা। এর বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে, যাতে এটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক পরিচালনা এবং বিতরণ করা আরও সহজ করে তুলতে পারে।
করোনার এ সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের একটি শটেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানী পল। তিনি বলছেন, জনসনের বানানো ভ্যাকসিনের একটি ডোজই দেওয়া হবে স্বেচ্ছাসেবীদের। আর এ ডোজের মাত্রা এমনভাবেই ঠিক করা হয়েছে, যাতে একটি শটেই শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। তিনি বলেন, এ ডোজে রক্তের টি-লিম্ফোসেইট কোষও সক্রিয় হবে। এ টি-কোষ সংক্রামিত কোষকে নষ্ট করে দিতে পারে। টি-কোষ অ্যাকটিভ হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।