অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপানে মৃতের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু কেন? এ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন সামনে এলেও জাপানিদের মতে, উচ্চতর ইমিউনিটিই তাদের মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করছে।
অবশ্য এমন নয় যে নিজেদের অঞ্চলে জাপানের মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে কম। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং ও ভিয়েতনামে মৃতের সংখ্যা আরো কম। কভিড-১৯-এর কারণে জাপান প্রায় হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু দেখেছে।
এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ জাপানে এমন অনেকগুলো পরিস্থিতি রয়েছে যা জাপানকে কভিড-১৯-এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল। কিন্তু জাপান তার প্রতিবেশী অনেক দেশের মতো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ফেব্রুয়ারিতে করোনা যখন মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল জাপান তখন তাদের সীমান্ত খোলা রেখেছিল। এদিকে কভিড-১৯-এ বয়স্ক লোকদের মৃত্যুর হার বেশি, যেখানে জাপানে আবার অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি। বৃহত্তর টোকিওর ৩৭ মিলিয়ন অধিবাসীর বেশির ভাগই যাতায়াত করে ট্রেনের ভিড়ে। এদিকে জাপান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টেস্টের যে নীতি তাকেও উপেক্ষা করেছে। সেসবের সঙ্গে তুলনা করলে মৃত্যুর হার বেশ কমই বলা যায়।
এ নিয়ে টোকিও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর টাটসুহিকু কোদামার মত হচ্ছে, জাপানে হয়তো কভিড আগে থেকেই ছিল। কভিড-১৯ তেমনই কোনো রোগ যা তাদের ঐতিহাসিকভাবে ইমিউনিটি প্রদান করেছে। ফলে যখনই রোগ শরীরে প্রবেশ করেছে তখন ইমিউন সিস্টেম অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে ভাইরাসকে রুখে দিয়েছে।
বিবিসি