শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্ব করে এমন ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ করছে ফেসবুক। পাশাপাশি একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ফটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামেও আগামী সপ্তাহ থেকে একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যারা চালাবে, গতিবিধি শনাক্ত করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে ফেসবুক থেকে। এ বিষয়ে সামর্থ্য আরও উন্নত করার চেষ্টা করছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি।
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে একজন শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় ফেসবুকে লাইভ দেখানো হয়য়। ওই ঘটনায় অর্ধশত মুসলিম নিহত হন। এরপরই চাপের মুখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
ওই সময় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধুমাত্র পোস্টম্যান না, তারা প্রকাশকও।”
অবশ্য এর আগে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের প্রচারকে বর্ণবাদী হিসেবে দেখা হতো না ফেসবুকে। এমনকি শ্বেতাঙ্গ জাতি-রাষ্ট্রের পক্ষে লেখালেখির অনুমতি ছিল।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ক্রাইস্টচার্চে হত্যাকাণ্ড চালানোর লাইভ ভিডিওটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগে চার হাজারবার দেখা হয়েছে।
তবে এরপরই আপলোড করা ওই ভিডিওর ১০ লাখেরও বেশি লিংক ব্লক করে আরও তিন লাখ কনটেন্ট মুছে দিয়েছে ফেসবুক।
এ ঘটনায় ইউটিউব ও রেডিটের মতো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠে।