বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, আব্দুল্লাহ আল ফারুকের শরীরের শতকরা ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এছাড়া আবু হোসেন ও রেজাউল আহমেদ নামে দুইজনকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে, ইউনাইটেড হাপসাতালে মৃত তিনজনই পুরুষ। এরা হলেন, মনির (৫০), মামুন (৩৬) ও মাকসুদুর রহমান (৩২)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক শ্রীলংকান নাগরিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। ইউনাইটেড হাসপাতপালে চিকিৎসাধীন পাঁচজন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যে ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা, তার নাম নীরস। বয়স প্রায় ৩৫ বছর।
অন্য দিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা এবং বনানী ক্লিনিকে মারা গেছেন পারভেজ সাজ্জাদ।
চিকিৎসকরা জানান, মারা যাওয়া অধিকাংশ ব্যক্তিরা আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফ দিয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভবনের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ জন, ইউনাইটেড হাসপাতালে ১৯ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিন বিকেল ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র সচিব শহিদুজ্জামান আহত ও দগ্ধদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান।