কোয়ারেনটাইনের নিয়ম লঙ্ঘন করা ব্যক্তিদের বন্দি রাখতে জার্মানির কয়েকটি অঞ্চলে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ কোভিড কারাগার নির্মাণ করেছে। এখন পর্যন্ত খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তিকে কারাগারগুলোতে পাঠানো হলেও সিদ্ধান্তটি জার্মানিজুড়ে সমালোচিত হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলে।
সম্প্রতি উত্তর জার্মানির শ্লেসভিগ-হলস্টাইন রাজ্যের নয়ম্যুনস্টারের একটি কিশোর সংশোধনাগারের অব্যবহৃত অ্যানেক্স ভবনকে কোভিড কারাগারে রূপান্তরিত করার খবর জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম।
এ ব্যাপারে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, কোভিড কারাগারগুলো গতানুগতিক জেলখানার মতো নয়। এখানে বন্দিদের টেলিভিশন, ল্যাপটপ, টেলিফোন এবং বাসার মতো সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। শুধু তাদেরকে নিরাপত্তাপ্রহরীদের কথা মতো চলতে হবে। ৪০ জন সাবেক পুলিশ সদস্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ওই কারাগারগুলোতে নিরাপত্তাপ্রহরীর কাজ করছেন।
তবে, কোয়ারেনটাইনের নিয়ম লঙ্ঘনকারী কাউকে কোভিড কারাগারে পাঠাতে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন হবে। ওই ব্যক্তি যে নিয়মিত কোয়ারেনটাইনের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তার প্রমাণ থাকতে হবে। সেই প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে তাকে জরিমানা করতে পারে। তারপরও নিয়ম লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে আদালতের নির্দেশে তাকে কোভিড কারাগারে পাঠানো যেতে পারে৷