সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে গুলি বিনিময় অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ভারত অধিকৃত জম্মু–কাশ্মীরের দুই দেশের মধ্যে সীমানা রেখায় উভয় পক্ষের মধ্যে এ গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে জানায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দার আনন্দ জানান, জম্মু–কাশ্মীরের পোনচের কৃষ্ণঘাটি এলাকায় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তবে সকাল সাতটার দিকে এটি থেমে যায়।
এদিকে পাল্টাপাল্টি বিমানযুদ্ধে পাকিস্তানের হাতে বন্দী হয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন। দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।
এক বিবৃতিতে ভারত জানায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশনের মানদণ্ড লঙ্ঘন করে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আহত কর্মীকে অপদস্থ করার দৃশ্য প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এ আচরণের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানানো হলো।
যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে নিজেকে নিরাপদ বলে দাবি করেছেন পাইলট অভিনন্দন। তিনি বলেন, ‘আমি এটি রেকর্ড রাখতে চাই। দেশে ফিরে গেলেও আমার মন্তব্য পরিবর্তন করবো না। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা খুব ভালোভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করেছেন।’
মঙ্গলবার পাকিস্তানের বালাকোটে কথিত জইশ–ই–মুহাম্মদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারত। এরপর বুধবার আবার তারা পাকিস্তানে ঢুকে হামলার চেষ্টা করে। একইভাবে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি বিমানও।
পাল্টাপাল্টি এ অভিযান ও ধাওয়া পালটায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত এবং একজন ভারতীয় পাইলটকে গ্রেপ্তার করে পাক আর্মি। যদিও ভারত দাবি করে, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিমান দুটি বিধ্বস্ত হয়।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি এফ–১৬ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে ভারতও। তবে পাকিস্তান এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এ অভিযানে কোনো এফ–১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহারই করা হয়নি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের পুলওয়ামায় বিচ্ছিন্নবাদি সংগঠন জইশ–ই–মুহাম্মদের হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ওই হামলায় ভারতের ৪৯ জন সেনা প্রাণ হারান। মোদি সরকারের দাবি, পাকিস্তানের মদদে এই হামলা হয়েছে। যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একাধিকার ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।