যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি চুক্তির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও মরক্কো। গত বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় তারা এ কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে চার মাসে চতুর্থ আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিল। খবর: বিবিসি।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমাতে এবং দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য ওয়াশিংটন তাদের কয়েক দশকের পররাষ্ট্রনীতিও বদলে ফেলতে দ্বিধা করছে না। মরক্কোর ক্ষেত্রে তারা পশ্চিম সাহারার ওপর দেশটির সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়েছে। ওই মরু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মরক্কোর সঙ্গে আলজেরিয়া-সমর্থিত পোলিসারিও ফ্রন্টের বিরোধ চলছে। পোলিসারিওরা সেখানে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ট্রাম্প স্বীকৃতি দিতে রাজি হলেও জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া জো বাইডেন পশ্চিম সাহারা বিষয়ে একই নীতিতে অটল থাকবেন কি না, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। বাইডেন শিবিরের মুখপাত্রও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এখন পর্যন্ত কোনো পশ্চিমা দেশই পশ্চিম সাহারার ওপর মরক্কোর কর্তৃত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘আমেরিকাই প্রথম’ জাতীয় ধ্যানধারণা থেকে বের করে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সঙ্গে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পকথিত ‘আব্রাহামিক চুক্তি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথেই থাকবেন।