জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজির হলের একটি কক্ষের ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা নবজাতকটি মারা গেছে। শনিবার বিকেলে শিশুটিকে উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১০টার দিকে সাভারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবর রহমান।
নবজাতকের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের ছাত্রী। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রীর রুমমেট ও আশেপাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা তার প্রসব বেদনার কথা জানতে পারেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে জানালে নার্স এসে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিতে বলেন। কিন্তু এর আগেই সন্তানের জন্ম হলে কাউকে না জানিয়ে নবজাতকটিকে ট্রাঙ্কে তালাবদ্ধ করে রাখেন ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে এনাম মেডিকেলে নেওয়ার পর তার কক্ষে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পান অন্য শিক্ষার্থীরা। খোঁজাখুঁজি করে কক্ষে থাকা ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে হল প্রশাসন। পরে নবজাতককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এনাম মেডিকেলে পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘নবজাতককে যখন মেডিকেলে আনা হয়, তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। অক্সিজেন দিয়ে স্বাভাবিক করে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।’