দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েই সংসদ সদস্য হলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা মো. জাহিদুর রহমান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথবাক্য পড়ান জাহিদুর রহমানকে। সকালে সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুরের শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে শেষ হয় সে আনুষ্ঠানিকতা।
স্পিকারের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালেই জাহিদুর রহমান স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি শপথ নেন স্পিকারের কাছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মাত্র ছয় প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ছয় জনের কেউই শপথ নেননি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বর্জন এবং শপথ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি, তা এখনো বহাল আছে। দলীয় সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন জাহিদুর রহমান।
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ নিতে হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বিজয়ী প্রার্থীদের। সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে স্পিকারকে চিঠি না দিলে ৩০ এপ্রিলের পর তাদের আসন শূন্য হয়ে যাবে। পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এসব শূন্য আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন।
এ পরিস্থিতিতে বিএনপি থেকে নির্বাচিত প্রার্থীরা আশা করছিলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে দল সিদ্ধান্ত পাল্টাবে, শপথ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে হাইকমান্ড থেকে। ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান আর সেই ইঙ্গিতের অপেক্ষা করলেন না।
জাহিদুর রহমান গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক। তিনি ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পেয়েছিলেন। কেবল ঠাকুরগাঁও নয়, রংপুর বিভাগ থেকেই একমাত্র বিএনপি প্রার্থী হিসেবে জয় পান জাহিদুর।