করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীকে বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করছে জাপান সরকার। আর এর মধ্যেই, ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকজন এমপি’র নাইটক্লাবে দাপিয়ে বেড়ানোর ঘটনায় লজ্জিত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। খবর রয়টার্স।
পার্লামেন্টে সুগা বলেন, এ ঘটনায় তিনি অত্যন্ত লজ্জিত। যেখানে জনগণকে তারা বাড়িতে থাকতে বাধ্য করছেন, সেখানে প্রত্যেক আইনপ্রণেতার এমন আচরণ করা উচিত যাতে তাদের ওপর জনগণ আস্থা রাখতে পারেন।
এর আগে, চলতি মাসেই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী টোকিওসহ আশেপাশের কয়েকয়টি অঞ্চলে একমাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাপানের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
ওই অঞ্চলগুলোতে রাত ৮টার মধ্যে সব রেস্তোরাঁ এবং বার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে, নির্দেশনা অমান্যকারীদের জন্য কোনো সাজা বা জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
এদিকে, নাইটক্লাবে যাওয়া আইনপ্রেণেতাদের একজন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা জুন মাতসুমোতো। তিনি সোমবার (২৫ জানুয়ারি) একটি ইতালিয় রেস্তোরাঁ রাতের খাবার খাওয়ার পর টোকিওর দুইটি নাইটক্লাবে ঘুরেছেন। ক্ষমতাসীন জোটের দল কোমেইতোর আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো তোইয়ামা শুক্রবার রাতে একটি নাইটক্লাবে যান। নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ওই এমপিরা।
অন্যদিকে, ওইসব ঘটনা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। টিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সম্প্রতি এক জরিপ চালিয়ে দেখেছে, জাপানে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি কোভিড আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি, হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে অন্তত ২৫ কোভিড আক্রান্ত বাড়িতে মারা গেছেন।