মোবাইল ডিভাইসের সুবাদে রাস্তায় বের হলেই হেডফোন কানে দিয়ে গান শোনা মানুষ অহরহ দেখা যায়। কিন্তু বহনযোগ্য ডিভাইসে গান শোনার এ প্রযুক্তি সাম্প্রতিক নয়। আজ থেকে ৪০ বছর আগে ওয়াকম্যান টিপিএস-এল২ উন্মোচন করেছিল জাপানভিত্তিক সনি, যা মানুষের গান শোনার ধরনই পাল্টে দেয়। জাপানের টোকিওতে ওয়াকম্যান উন্মোচনের চার দশকপূর্তি উদযাপন করছে সনি। খবর দ্য ভার্জ।
আইকনিক ডিভাইস ওয়াকম্যানের সাফল্য উদযাপনে টোকিওতে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সনি। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ওয়াকম্যান ইন দ্য পার্ক’। সনির পুরনো আইকনিক ভবন গিনজা সনি পার্কে নতুন একটি পাবলিক স্পেসে চালু করা হয়েছে এ প্রদর্শনী। যেখানে সনির অনেক পুরনো পণ্য রাখা হয়েছে। তবে প্রদর্শনীতে ওয়াকম্যান ইন দ্য পার্ক বিভাগটি কিছুটা আলাদা। বিভাগটির পণ্যগুলো বাস্তবে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়েছে এবং এগুলো আসলে কেমন অনুভূতি দেয়, তার দিকে নজর দেয়া হয়েছে।
১৯৭৯ সালের আগে গান শোনার অন্যতম মাধ্যম ছিল ক্যাসেট প্লেয়ার। কিন্তু আকার বড় হওয়ায় নির্দিষ্ট স্থানে রেখেই গান শুনতে হতো। তখন চলতি পথে গান শুনতে হলে একমাত্র উপায় ছিল এএম/এফএম রেডিও। কিন্তু তাতে কি আর গান ইচ্ছামতো শোনা যায়? চলতি পথে ইচ্ছামতো গান শোনার উপায় প্রথম সামনে আনে সনি।
ওয়াকম্যান তৈরির পেছনের গল্পটাও মজার। ডিভাইসটি তৈরি হয় সনির প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মাসারু ইবুকার অনুরোধে। তিনি চলতি পথে গান শোনার কোনো উপায় বের করার অনুরোধ জানান। সে সময় মাসারু ইবুকাকে এমন একটি ডিভাইস তৈরি করে দেয়া হয়, যাতে হেডফোনের মতো ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ও ব্যাটারিচালিত প্লেয়ার ছিল। প্রথম দিকে এ ডিভাইস গ্রাহকদের মধ্যে খুব বেশি সাড়া ফেলতে পারেনি। কিন্তু এতে অভ্যস্ত হওয়ার পর সনির কাছে নতুন ওয়াকম্যান তৈরিতে গ্রাহক অনুরোধ বেড়ে যায়।