জাপানের দিকে ধেয়ে আসা টাইফুন হেইশেনের হুমকিতে দুই লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রোববার কিয়ুশোতে আঘাত হানার পর সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ামুখী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
টাইফুনটিকে ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার ঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে জাপানে এ নিয়ে দুটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে। এর আগে মেইসাক নামে আরো একটি ঘূর্ণিঝড় জাপানে তাণ্ডব চালিয়েছে। ওই ঘূর্ণিঝড়টি ছিল ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় কমপক্ষে ১৩০ মাইল। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হেইশেনের প্রভাবে এরই মধ্যে জাপানে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস বইছে।
টাইফুনটি আঘাত হানার আশঙ্কায় এরই মধ্যে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানা, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া কয়েকশ বিমানের ফ্লাইট এবং ট্রেন সেবাও বাতিল করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে লোকজনকে সতর্ক করতে রোববার জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাপান সরকার।
আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক ইয়োশিহিসা নাকামোতো জানিয়েছেন, নিচু এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে নদীর কাছাকাছি এলাকাগুলোতে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, রোববার বিকালের দিকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ছোট্ট দ্বীপ কিউশুনের পাশের আমামি অঞ্চলে ঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। ওই এলাকাটি প্রশান্ত মহাসাগরকে পূর্ব চীন সাগর থেকে পৃথক করেছে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী হেইশেন দেশের অন্যতম প্রধান দ্বীপ কিউশুনের উত্তর উপকূলে আঘাত হানার পর তা দক্ষিণ উপকূলের দিকে ধেয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহূত বিভিন্ন স্কুল এবং কমিউনিটি সেন্টারে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোটো শহরের ৩৬ হাজার ৬০০ বাসিন্দা। ওই শহরেই সরাসরি আঘাত হানতে যাচ্ছে এ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।