জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ আজ (১৪ অক্টোবর) বুধবার জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী তারো আসোর সাথে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসো দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান অটুট বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে সর্বদা সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে জাপানে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত আহমদ উপপ্রধানমন্ত্রীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং জাপানে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের বন্ধুসুলভ সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন এই সহযোগিতা উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া তাঁরা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানি সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, করোনা মহামারি প্রতিরোধসহ দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা সমস্যার কথা তুলে এ সময় জনাব তারো আসো ১০ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এ সমস্যা সমাধানে জাপানের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তাঁর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জানিয়ে জাপান এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফেরত নেবার জন্য মিয়ানমারকে রাজী করাতে কাজ করার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ আরও বলেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান, এছাড়া সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে মর্মে রাষ্ট্রদূত জাপানের অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ অনুযায়ী বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবার সকল যোগ্যতা অর্জন করেছে এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের এ লক্ষ্য পূরণে তিনি জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী তারো আসো এ সময় জাপানের দীর্ঘতম সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে শিনজো আবের সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত নীতি ও কৌশলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতে দূতাবাসের মিনিস্টার ড. জিয়াউল আবেদীন ও কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন।
Nihon Bangla | Japan Bangladesh News Portal জাপান প্রবাসীদের নিত্য সঙ্গী Nihon Bangla | Japan Bangladesh News Portal একটি সাধারন মাধ্যম