সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার দায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
তবে খাসোগি হত্যাকাণ্ডে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সৌদির আদালত যে রায় দিয়েছে সেটি ন্যায়বিচার নয় বলে জানিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের মাটিতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার স্বচ্ছ বিচার দাবি করেছে আঙ্কারা।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আন্তর্জাতিক সমাজ আশা করেছিল, আদালতের রায়ে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচিত হবে প্রকৃত ঘাতকদের বিচার হবে; কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। খাসোগির লাশের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো পরিষ্কার নয় এবং এ বিষয়টি প্রকাশ না করে সৌদি আদালত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার সৌদি আরবের একটি আদালত খাসোগি হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন। এই মামলায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছিল। এরমধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, তিনজনকে ২৪ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং তিনজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, খাসোগি হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার জন্য রিয়াদের অপরাধ আদালত পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। যে তিনজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা আইন লঙ্ঘন এবং অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করেছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সৌদি কনস্যুলেট কিছু জরুরি কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। সেখানে তাকে সৌদি আরব থেকে যাওয়া একটি ঘাতক দল হত্যা করে এবং তার লাশ নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। সৌদি আরব বিষয়টি প্রথমদিকে অস্বীকার করলেও তুরস্কের নানামুখী চাপে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার এবং পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
তবে বিভিন্ন প্রমাণ রয়েছে জানিয়ে তুরস্ক বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সৌদির সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারো হাত রয়েছে। তারা মূলত সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে সেই সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে বুঝাতে চেয়েছে। কিন্তু সৌদি সরকার জানিয়েছে, খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সৌদির রাজপরিবারের কারো সংশ্লিষ্টতা নেই।