এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মার্কিন কবি ও প্রাবন্ধিক লুইস এলিজাবেথ গ্লিক।
সুইডেনের স্টকহোমে স্থানীয় সময় দুপুর একটায় সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে দ্য রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমির একটি প্যানেল।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় নোবেল কমিটি। এক টুইটবার্তায়ও ছবিসহ এ দুইজনের নাম প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে নোবেল কমিটি জানায়, লুইস গ্লিকের স্বতন্ত্র কাব্যিক স্বর ও সরল সৌন্দর্য ব্যক্তি-অস্তিত্বকে সর্বজনীন করে তোলে, তার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর তাকে নোবেলে ভূষিত করা হলো।
১৯৪৩ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া লুইস গ্লিক এর আগে অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় সব সাহিত্য পুরস্কার, যার মধ্যে আছে পুলিৎজার পুরস্কারও। ২০০৩-২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পোয়েট লরিয়েট’ ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে সাহিত্যে একসঙ্গে ঘোষণা করা হয় আগের বছরের নোবেলও। ২০১৮ সালের নোবেল পান পোলিশ লেখিকা ওলগা তোকারচুক। ২০১৯ সালে এ স্বীকৃতি পান অস্ট্রিয়ান লেখক পিটার হান্ডকে।
সুইডিশ একাডেমির সদস্যদের যৌন কেলেঙ্কারি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার কারণে ২০১৮ সালে সাহিত্যে পুরস্কার ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছিল।
বুধবার রসায়নে বিজ্ঞানে এ বছরের নোবেল জিতে নেন যৌথভাবে ফরাসি বিজ্ঞানী ইমানুয়েল সারপেন্টিয়ের এবং মার্কিন বিজ্ঞানী জেনিফার এ. ডাউডনা। জিনোম গবেষণায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে এ স্বীকৃতি পান তারা।
মঙ্গলবার পদার্থ বিজ্ঞানে এ বছরের নোবেল জিতে নেন যৌথভাবে তিন জোতির্বিজ্ঞানী স্যার রজার পেনরোজ, রেইনহার্ড জেঞ্জেল এবং আন্দ্রেয়া এম. গেজ। ছায়াপথ (গ্যালাক্সি) এবং কৃষ্ণগহবর (ব্ল্যাকহোল) গবেষণায় ভূমিকা রাখেন তারা।
সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তিন বিজ্ঞানীকে। হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস আবিষ্কার করে অসামান্য ভূমিকার জন্য যৌথভাবে নোবেল জিতে নেন মার্কিন বিজ্ঞানী হার্ভে জে অল্টার ও চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হিউটন।
শুক্রবার শান্তি এবং ১২ অক্টোবর অর্থনীতিতে এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।