নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ৪০ জন , যার মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি আছেন । এক সাংবাদিক সম্মেলনে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন এদিকে। শহরের তৃতীয় একটি স্থানে গোলাগুলি হওয়ার ও স্ট্রিকল্যান্ড সেইন্টে একটি গাড়ি বোমা থাকার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে, শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে জুম্মার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের মধ্যাঞ্চল ও শহরতলী লিনউডের দুই মসজিদে হামলা চালিয়েছে দুই পৃথক বন্দুকধারী। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও সক্রিয় থাকতে পারে অপর এক বন্দুকধারী। এক বিবৃতিতে, সকল দেশবাসীকে কোনো মসজিদের নিকটে না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ।
এদিকে, এক হামলাকারী অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। ভিডিওটিতে এক হামলাকারী দাবি করেছে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। ধারণা করা হচ্ছে ওই বন্দুকধারী অস্ট্রেলিয়ান। সে গুলি চালানোর সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করেছে।
পুরো ক্রাইস্টচার্চে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। পুরো শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সকলকে নিজ নিজ ঘরের ভেতর থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী।
এদিকে, এক সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অপর এক বন্দুকধারী সক্রিয় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডারন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটা নিউজিল্যান্ডের অন্যতম কালো দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত তথ্য জানাননি।
উল্লেখ্য, জুম্মার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবালসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একাধিক সদস্য। তবে মসজিদে প্রবেশের আগেই গুলির আওয়াজ শুনে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করেন তারা।