নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডন জানিয়েছেন, দেশটির বর্তমান অস্ত্র-আইন সংশোধনে একমত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার (১৮ মার্চ) কেবিনেটের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানা আর্ডন।
আর্ডন বলেন, বর্তমান আইনে কি ধরনের পরিবর্তন আনা হবে তা বিস্তারিত জানা যাবে ২৫ মার্চের মধ্যে। ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার ১০ দিনের মধ্যে আমরা এমন কিছু সংশোধনী তুলে আনতে পারবো যা আমাদের সম্প্রদায়কে অধিকতর নিরাপদ করবে।
আর্ডন আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদের আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কি কারণে ক্রাইস্টচার্চে রক্তক্ষয়ী হামলা হলো বা ভিন্ন কোন ভাবে এই হামলা মোকাবিলা করা যেত কিনা সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন আর্ডন।
অস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুবছর আগের করা এক জরিপে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের কাছে অন্তত ১০ লাখ ২০ হাজার নিবন্ধনকৃত অস্ত্র রয়েছে। অর্থাৎ জনসংখ্যার হিসেবে প্রতি চারজনের কাছে একটি করে।
দেশটির অস্ত্র আইন অনুসারে, ১৬ বছর বয়স্ক যে কেউই সাধারণ বা আধাঃস্বয়ক্রিয় সামরিক অস্ত্রের মালিক হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পুলিশি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার আগে, ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য, নেশা-আসক্তি অথবা পূর্বে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিনা তা বিবেচনায় আনা হয়। লাইসেন্স পাওয়ার পর যে কেউ যত খুশি সংখ্যক অস্ত্র তার কাছে রাখতে পারে।
এছাড়া নিউজিল্যান্ডে বন্য প্রাণী শিকারের সংস্কৃতি রয়েছে। অস্ত্র আইন কঠোর না করতে অস্ত্র বিক্রেতাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক লবিংও রয়েছে সেখানে।