সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেওয়া সন্দেহভাজন মুখোশধারী নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই ফেনী জেলা ইন্সপেক্টর শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক নেতৃত্ব দেয়া এই যুবক চরচান্দিয়া গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে। মামলার এজহারের তিনি ২ নম্বর আসামি।
প্রসঙ্গত, মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন নুসরাতের মা। এ মামলায় গত ২৭ মার্চ গ্রেপ্তার হয় অধ্যক্ষ সিরাজ। পরদিনই নুর উদ্দিন নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় সিরাজ উদ দৌলা মুক্তি পরিষদ।
একই দিন দুপুরে করা হয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। সেখানে নুসরাতের পক্ষে অবস্থান নেয়াদের হুমকি দিয়েছিলেন নুর।
নুসরাতের ভাইয়ের দাবি, নুর উদ্দিনই তার বোনের প্রধান হত্যাকারী।
এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো পলাতক রয়েছেন। সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের ওই মাদ্রাসার ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামিম।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
উল্লেখ, বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।