কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলায় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ ৪৪ সদস্যের নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানি শিল্লীদের বয়কট করেছে ভারত। এ হামলার পেছনে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। পুরো দেশের মানুষ ফুঁসে ওঠেছে এ ঘটনায়। বলিউডের শিল্পীরা এমনকি ক্রিকেটাররাও প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে।
দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, পাকিস্তানি অভিনেতা, গায়ক-গায়িকা, শিল্পী বা কলাকুশলীদের সঙ্গে মুম্বাইয়ের প্রযোজক-পরিচালকদের কাজ করার উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রধান সংগঠন দি ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই)।
বৃহস্পতিবার দেশটির আধা সামরিক বাহিনীর কনভয়ে আধা সামরিক বাহিনীর সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন ৪৪ জন সেনা।
ঘটনার পরপর কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভারতের দাবি, পাকিস্তানে বসেই এ হামলার পরিকল্পনা হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে পাক সেনাবাহিনীর ইন্ধন।
এফডব্লিউআইসিই মুখ্য উপদেষ্টা অশোক পণ্ডিত বলেন, “বারবার দেশে হামলার পরও যারা পাকিস্তানের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য লালায়িত, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদের যখন লজ্জা নেই, তখন আমরাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছি।”
নিষেধাজ্ঞা অমান্য যে ভারতীয় পরিচালক-প্রযোজক পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজে নিবেন তাকেও ‘বয়কট’ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পণ্ডিত।
তিনি বলেন, “যে সব প্রযোজক, পরিচালক পাকিস্তানী অভিনেতা-শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার জন্য জোরাজুরি করবেন, তাদেরকেও বয়কট করবে এফডব্লিউআইসিই। সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এই অনমনীয় নির্দেশনা জারি করা হল।”
আনন্দবাজার জানায়, এফডব্লিউআইসিই-র এমন কঠোর নির্দেশনায় মুম্বাইয়ের বিনোদন জগতে কার্যত আর প্রবেশ করতে পারবেন না পাকিস্তানি অভিনেতা, গায়ক-গায়িকা বা কলাকুশলী। কারণ সিনেমা, টিভি, মিউজিক, বিজ্ঞাপনসহ পুরো বিনোদন ক্ষেত্রের প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, কলকুশলীদের ২০টিরও বেশি সংগঠনের প্রধান হচ্ছে এই এফডব্লিউআইসিই।
বিনোদন জগতের যে কোনও ক্ষেত্রের সবাই এই ২০টি সংগঠনের কোনো না কোনোটি সদস্য। আর এই সব ক’টি সংগঠনের নিয়ন্ত্রক এফডব্লিউআইসিই। সব মিলিয়ে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি বলে জানা গেছে। ফলে এফডব্লিউআইসিই কারও উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা মানে, তার জন্য বলিউডের দরজাই বন্ধ হয়ে যাওয়া।