ফিলিস্তিনে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের শুরুতে এ সহায়তা অর্ধেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে মাঝামাঝিতে এসে পুরোপুরি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েল কর্তৃক দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বছরে এ দুই অঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের ৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছিল দেশটি। এর আগে ফিলিস্তিনিদের মার্কিন সহায়তায় বন্ধে সমর্থন জানিয়েছিল ইসরায়েল।
গত বছর কংগ্রেসে সন্ত্রাসবিরোধী নতুন আইন ‘অ্যান্টি টেররিজম ক্ল্যারিফিকেশন অ্যাক্ট (অ্যাটসিএ)’ পাস হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষর করার পর এটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। সে আইন অনুসারে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই আইন অনুযায়ী, ‘যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট’ কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা পেলে তার বিরুদ্ধে যে কোনো মার্কিন নাগরিক চাইলে মামলা করতে পারবে।
ফিলিস্তিনের শীর্ষ কূটনৈতিক শায়েব এরেকাত এ ব্যাপারে বলেন, মামলার আশঙ্কায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ সহযোগিতা বন্ধ করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সহায়তা নেওয়ার কারণে যদি আদালতে হাজির হতে হয়, সে অর্থ আমরা চাই না।’
এরেকাত বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে কিছুই চাই না। এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের সিদ্ধান্ত। তবে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।’
দখলদার ইসরায়েলের অভিযোগ, এ সহায়তা ফিলিস্তিন সন্ত্রাসবাদী কাজে ব্যবহার করে। তবে বরাবরের মতো ইসরায়েলের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ফিলিস্তিন।