ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বুধবার অনেকটা ‘নির্ভার’ সময় পার করেছেন। ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একদিনের জন্য দায়িত্ব হস্তান্তর করে শুধু পর্যবেক্ষণে থাকেন।
শিশু অধিকার সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবালের ‘গার্লস টেকওভার’ প্রচারণার অংশ হিসেবে কিশোরী শিক্ষার্থী আভা মুর্তো পেয়েছিলেন এই দায়িত্ব। আভা ফিনল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ভাস্কির বাসিন্দা।
একদিনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি জানান, দিনটি তার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর ছিল। আইন বিষয়ে নতুন অনেক কিছু শিখেছেন।
শিক্ষার্থী আভা জলবায়ু ও মানবাধিকার বিষয়গুলো নিয়ে আগে থেকেই সক্রিয় ছিলেন। বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্য এবং উন্নয়ন ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন।
নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে তিনি কী বার্তা দিয়েছেন? এ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে আভা বলেন, ‘মেয়েরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আরো ভালো করে বোঝা দরকার এবং প্রযুক্তিতে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আমি মনে করি, নতুন উদ্ভাবন এবং ভবিষ্যতে বড়দেরকে তরুণরা অনেক কিছু শেখাতে পারে।’
ভবিষ্যতে পুরো সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর ছিল, ‘যদিও এই সিদ্ধান্ত আমার ওপর নির্ভর করে না, তবে সম্ভবত আমি করব।’
মেয়েদের বিরুদ্ধে অনলাইন নিপীড়নের সমস্যা, তাদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি জগতে লিঙ্গ সমতা নিয়ে কাজ করে ‘গার্লস টেকওভার’। অর্থাৎ তারা মেয়েদের গুরুত্ব সবার মাঝে তুলে ধরে।
আন্তর্জাতিকভাবে লিঙ্গ সমতার দিক থেকে ফিনল্যান্ড অনেক এগিয়ে। তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চপদে এখনও নারীদের প্রতিনিধিত্ব অনেক কম। প্রযুক্তি বিষয়ক পড়াশোনায়ও ফিনল্যান্ডের মেয়েদের অংশগ্রহণ ওইসিডির অন্য দেশগুলোর চেয়ে কম।
এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার অংশ হিসেবেই আভা মুর্তোর হাতে একদিনের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ফিনল্যান্ডের ৩৪ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। তবে একেবারে কাজহীন সময় কাটাননি গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণ করা বিশ্বের কনিষ্ঠতম সরকার প্রধান।সকালে তিনি বাজেট সংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নেন।