রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির দায়ে ৫১২ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিক।
মঙ্গলবার (৭ মে) মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের শহরতলীর একটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
মিয়ানমারের সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে ওয়া লোন এবং কিয়া সোইও নামের ওই দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
জজ আদালত রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে সাত বছরের সাজা দেওয়ার পর হাই কোর্ট এবং আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে। আপিল বিভাগের ওই রায় আসার মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় দুই সাংবাদিক মুক্তি পেলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর বর্ষবরণের মৌসুমে মিয়ানমারে প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় বিপুল সংখ্যক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এবছর সেই প্রক্রিয়া শুরু হয় এপ্রিল থেকে। এর আওতায় কয়েক হাজার বন্দির সঙ্গে সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সোকেওকে মিয়ানমার সরকার মুক্তি দিয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যদের আমন্ত্রণে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন তারা। পরে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাফতরিক গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায়। রাখাইনের ইনদিন গ্রামে সেনা অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার ওপর অনুসন্ধান চালাতে গিয়েই মামলার কবলে পড়েন তারা।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপন আইনের আওতায় অভিযুক্ত করে তাদেরকে ৭ বছরের জেল দেওয়া হয়। তবে রয়টার্স বরাবরই দাবি করে করেছে, তাদের দুই সাংবাদিক কোনো অপরাধ করেননি।
ওয়া লেইন জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বিবিসির সংবাদদাতা নিক বেইককে বলেন, আমি কখনোই সাংবাদিকতা ছেড়ে দেব না। আমি আমার পরিবার এবং সহকর্মীদের কাছে ফিরে এসে খুবই আনন্দিত।