জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশন উপলক্ষে সাইড লাইনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ছাড়াও ভার্চুয়াল এ ইভেন্টের আয়োজন করে কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্ক। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন।
এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর চলতি সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত অসংখ্য রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বিতারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ পর্যন্ত রোহিঙ্গার মোট সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বরাবরই বিশ্ব নেতাদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ উপলক্ষে ৭৫তম অধিবেশনের সাইড লাইনে ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সাম্প্রতিক চার বছর টেকসই সমাধান নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আয়োজক চার দেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান। সঞ্চালক ছিলেন কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রায়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে একটি রেজুলেশন পাস হবে।
করোনা মহামারির কারণে এবার রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জাতিসংঘে আসছেন না।
তবে বিভিন্ন কর্মসূচি আগের মতো অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। জাতিসংঘ সদরদপ্তর সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এবার মূল ভাষণ দেবেন ২৬ সেপ্টেম্বর।