স্কুল পালিয়ে আইএসের দলে নাম লেখানো শামীমা বেগম তার নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আইনি লড়াইয়ের জন্য ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারক।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা রায়ে বলেছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে শামীমা যে আপিল করেছেন তার শুনানিতে অংশ নিতে তাকে ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া উচিত হবে না।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া তিন তরুণী যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আইএসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামীমা বেগম (২০) এবং খাদিজা সুলতানা (২১) ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছাত্রী ছিলেন।
সিরিয়ায় আইএস কোণঠাসা হওয়ার পর শামীমাকে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ‘হোম অফিস’ থেকে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। ঢাকার পক্ষ থেকেও সাফ জানিয়ে দেয়া হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে তার নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। শামীমা নিজেও একাধিকবার বলেছেন, বাংলাদেশ নয়; তিনি ব্রিটেনেই ফিরতে চান।
শামীমা বেগমের আইনজীবীদের যুক্তি, নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আপিলের শুনানিতে অবাধে অংশ নিতে না পারলে এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল হয়ে যাবে।