কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ইয়াবা বাণিজ্য ও নানা ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কথা জেনে যাওয়ার কারণেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তকারী সংস্থা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) জানিয়েছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে থানায় বসে ওসি প্রদীপসহ পাঁচ জন মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, এদিন কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মেজর সিনহা হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস দশদিন বা ১৩০ দিন পর রোববার মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে র্যাব। মামলায় মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য, তিন জন এপিবিএন সদস্য এবং স্থানীয় তিন জন বেসামরিক নাগরিক।
২৬ পৃষ্ঠার চার্জশিটে যে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে ১৪ জনকেই র্যাব গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। সাগর দেব নামে একজন পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেন।