বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত সোমবার মিয়ানমারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি গ্রেফতার এবং ক্ষমতা দখলের পর এই উদ্যোগ নিল দেশটির সামরিক সরকার।
মিয়ানমারে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। আর সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতার মূল কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। এদিন সামরিক সরকারের নির্দেশ লঙ্ঘন করার জন্য প্রচার এবং রাতে মানুষের ‘ঘটি-বাটি’ প্রতিবাদের ছবি ফেসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়।
দেশটির যোগাযোগ ও পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রর থাকবে।
একটি চিঠিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ফেসবুক ব্যবহার করে ভুয়া খবর ও তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে কিছু মানুষ।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের গ্রেফতারকৃত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা দায়ের করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেশটির সামরিক সরকার। অবৈধভাবে যোগাযোগের যন্ত্রপাতি আমদানির অভিযোগে সু চিকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে যা যা করার দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।