থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা জারি থাকার মধ্যেই গণজমায়েতের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় জড়ো হয়েছেন গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আন্দোলনের সংগঠকদের মুক্তির দাবিতে সারাদিনই স্লোগান দিয়েছেন তারা।
পাশাপাশি, ছাত্র আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ‘তিন আঙ্গুলে স্যালুট’ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে অনেককেই।
এর আগে, দীর্ঘদিন ইউরোপে কাটিয়ে থাইল্যান্ডের রাজা মহা বাজিরালংকর্ণ বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানী ব্যাংককে ফিরলে বিশাল বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
তারপর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালেই জরুরি ডিক্রি জারি করেন থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। ওই ডিক্রির মাধ্যমে চারজনের বেশি একসঙ্গে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। সকালেই তিন শীর্ষ সংগঠসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলেই সেই সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের একটি ব্যস্ত এলাকায় সমবেত হন। ওই জমাইয়েত থেকে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। সেখান থেকে স্লোগান ওঠে ‘পুলিশ একনায়কের দাস’।
সে সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে দাঁড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ এবং পুলিশকে ধরপাকড় করতেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
থাইল্যান্ডে মূলত অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ দাবি করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে, সম্প্রতি কয়েকমাস যাবত ছাত্রদের সঙ্গে নানা শ্রেনি পেশার মানুষ যোগ দিয়ে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা পুনঃনির্ধারণের দাবিও তুলছেন।
প্রসঙ্গত, তিন মাস ধরেই থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদ ও সামরিক কর্তৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলে আসছে। যদিও, থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বিক্ষোভকারীদের আইন লঙ্ঘন করার মত সাহসী করে তুলছে।