করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনগণকে মুখে মাস্ক পরার নির্দেশ দেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, জাতীয়ভাবে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার পক্ষপাতী নন তিনি। জনগণকে জোর করে হলেও মাস্ক পরানোর পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির আহ্বানের পর এমন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। খবর: বিবিসি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এ দুই দিক থেকেই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজারের বেশি মানুষের। এরই মধ্যে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালের মর্গ ভর্তি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, ‘মাস্ক পরাটা সত্যিই খুব জরুরি এবং আমাদের প্রত্যেকেরই তা ব্যবহার করা উচিত।’ লোকজনকে মাস্ক পরাতে যতটা সম্ভব জোরজবরদস্তি করার জন্য স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফাউচির সে আহ্বানে সাড়া দিতে রাজি নন ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করতে চান না। ট্রাম্প বলেন, ‘না আমি চাই জনগণের একটি নির্দিষ্ট স্বাধীনতা থাকুক।’
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক বার ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি মাস্ক পরবেন না। এমনকি মাস্ক পরার জন্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে নিয়েও ব্যঙ্গ করেছেন তিনি। তবে সম্প্রতি আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড সামরিক হাসপাতাল পরিদর্শনে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায় তাকে।