প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ব্রেক্সিট জটিলতার মাঝে কোনো সাধারণ নির্বাচন চান না বরিস জনসন। এমন বক্তব্য তাকে বেশ কয়েকবার দিতে দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যুক্তরাজ্যে আগাম সাধারণ নির্বাচন চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে জনসনই সবচেয়ে এগিয়ে। তিনি মনে করছেন, একমাত্র নির্বাচনই পারে তাকে ব্রেক্সিট জটিলতা থেকে বের করতে।
পার্লামেন্টের বিতর্কে জনসন তার নিজের দলের কাছেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। তারপরও তিনি জোর দিয়ে বলছেন, চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ৩১ অক্টোবরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে যুক্তরাজ্য। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তার মধ্যস্থতায় পানি ঢেলে দিয়েছে পার্লামেন্ট। আগামীকাল সোমবারই পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে ব্রেক্সিট বিলম্বের জন্য আরও সময় চাওয়া হবে।
এমন অবস্থায় জনসনের সামনে একমাত্র খোলা পথ হলো সাধারণ নির্বাচন। আর জোর করে এই নির্বাচন করতে গেলে জনসনকে আইন ভঙ্গ করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারলে ব্রেক্সিট নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির বিভক্তির কারণে সেই আশাও পূর্ণ হবে না বলে মত অধিকাংশ বিশ্লেষকের।
নির্বাচন হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত বরিস জনসনের হাতে নেই। ২০১১ সালের এক আইন অনুসারে, আগাম নির্বাচন করতে হলে পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে। গত বুধবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার দাবি তুলে প্রথম দফায় হেরেছেন জনসন। ফলে আগামীকাল সোমবার আবারও নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপিত হবে পার্লামেন্টে। বিশ্লেষকদের মতে, গত শুক্রবারের মতো সোমবারের বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা জনসনের বিরুদ্ধে একাট্টা হবেন।
ব্রিটিশ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ইয়ান ডান্ট সিএনএনকে বলেন, ‘বিষয়টির সুবিধা হলো, আপনার শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার। জনসনের এখন কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ফলে তিনি চাইলে নতুন নীতিমালাও পাস করাতে পারবেন না।’ গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন আইনপ্রণেতা দলত্যাগ করেন। এই দলত্যাগের কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে হয় জনসনকে।