যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর ফলে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ ও কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ করেই ট্রাম্প সমর্থকরা সেখানে তাণ্ডব শুরু করে। ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে গোলাগুলিতে এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসি বলছে, প্রতিনিধি পরিষদের সভাকক্ষের প্রবেশদ্বারে অস্ত্র তাক করার দৃশ্য দেখা গেছে। কাঁদুনে গ্যাসও ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে কারফিউ ভাঙার অপরাধে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ জানিয়েছে অ্যাশলি ব্যাবিট নামের ওই নারী সান দিয়াগোর বাসিন্দা। তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক ছিলেন।
বুধবার আইন প্রণেতারা যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়েন।
কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।
ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হওয়ার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাজপথে দেখা গেছে।
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাঁচাও’ নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদন করার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।