যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট হঠাৎ করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পদক্ষেপকে ‘বেপরোয়া’ এবং ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। আর উভয় দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ পরবর্তী এ বাস্তবতাকে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের পাঁয়তারা হিসেবে দেখছে।
হিউস্টন কনস্যুলেটের ভেতরে চীনাদের বিরুদ্ধে নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন সরকার। সেসঙ্গে নিজেদের মেধাস্বত্ব ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার কারণ দেখিয়ে বেইজিংকে কনস্যুলেটটি বন্ধের নির্দেশ দেয় ওয়াশিংটন। দুই দেশের মধ্যে যখন এ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে তখন সামনে চলে এল আরেক কনস্যুলেট।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করছেন, ট্যাং জুয়ান নামের গবেষক কাজ করেন জীববিজ্ঞান নিয়ে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার কাজ সহজ করতে চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথাটি গোপন করেন এবং বিষয়টি প্রকাশের পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে পশ্চিম তীরের কূটনৈতিক মিশনে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ, এফবিআই ও চীনা পররাষ্ট্র দফতরের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছে সিএনএন। ওয়াংয়ের গ্রেফতার নিয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং একে ‘পরিষ্কার রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে দাবি করেন।