সামরিক বাহিনীর সঙ্গে জড়িত থাকার ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে সম্প্রতি এক হাজারের বেশি চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষকের ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্য গার্ডিয়ান ।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান শাদ উলফ জানান, শিক্ষার্থী ভিসার অপব্যবহার করছে চীন। গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও তথ্য পাচারের আশঙ্কা থেকে চীনের মিলিটারি ফিউশন স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে যুক্ত নির্দিষ্ট কিছু চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
এ বছরের ২৯ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক ঘোষণায় নিরাপত্তা উদ্বেগজনিত কারণে চীন থেকে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ স্থগিত করার কথা বলা হয়। প্রেসিডেন্টের ওই ঘোষণার ফলেই এখন এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পে গত মাসে একটি রেডিও প্রোগ্রামে বলেন, ‘সব চীনা শিক্ষার্থী চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত নয় বা পার্টির হয়ে কাজ করছেন না। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ ব্যাপারটি গুরুতর হিসেবে দেখছেন।’
গত বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বলেন, ‘১ জুন থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশের পর নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এক হাজার শিক্ষার্থীর ভিসার আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা মোট চীনা শিক্ষার্থীর ছোট অংশ এটি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বা মিলিটারির সঙ্গে যুক্ত নন, এমন চীনা শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে কোনো বাধা নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আসে চীন থেকে। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কিছু শিক্ষার্থী জানান, তারা গত বুধবার বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের ভিসা বাতিল সম্পর্কিত ই-মেইল পেয়েছেন।