Breaking News

সিন্ডিকেট ভেংগে দিয়ে বাংলাদেশের অনুমোদিত সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে সুযোগ দিচ্ছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী

শাহ্‌ মামুনুর রহমান তুহিন // মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা শীর্ষক এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ জানিয়েছেন, মাত্র ১০ টি এজেন্সি এতোদিন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একচেটিয়াভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ পেয়ে আসছিলো। এ কারনে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি কর্মীদের জনপ্রতি ২০,০০০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত পর্যন্ত দিতে হতো এজেন্সিগুলোকে। তিনি আরো জানান, এই সিন্ডিকেট আমরা ভেংগে দিতে চাই এবং ঐ ১০ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও তিনি বলেছেন। মালয়েশিয়া সরকার সমস্ত এজেন্ট পর্যন্ত এটি বিস্তৃত করতে চায়। যেন সেখানে প্রতিযোগিতা থাকে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত সব রিক্রুটিং এজেন্সিকেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে।এর ফলে মালয়েশিয়ায় আরো বেশি সংখ্যক কর্মী পাঠানোর সুযোগ অবারিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মীদের জন্যও তা সুবিধাজনক হবে। মালয়েশিয়া গমণে কর্মীদের খরচ কমে আসবে এতে।
মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যে অনুমোদিত এজেন্টরা বিদেশে কর্মী পাঠায়, শিগগির তাদের সবাইকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের অনুমোদন দেওয়া হবে। এর আগে মাত্র ১০টি এজেন্সির মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর অনুমোদন ছিল।
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট)  পদ্ধতি চলমান থাকাকালে ২০১৬ সালে বেসরকারিভাবেও কর্মী নিয়োগের সুযোগ রেখে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে কর্মী নিয়োগে দুই দেশের সরকার চুক্তি করে। তখন   আবেদনপত্রের (এসপিপিএ) মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিদেশি কর্মী নিয়োগের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা কেবল বাংলাদেশের অনুমোদিত ১০টি এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিতো। এতে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।
মাহাথির আরও বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশে বিদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করতে চান তিনি। যে দেশ থেকেই কর্মী নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন, সবাইকে ওই স্বাধীন কমিশনের একক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে চান। একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ওই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নীতি ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর দেখাশোনা করা হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণের প্রতিও নজর রাখা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে দুই দেশ শুধু সরকারি মাধ্যমে জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে। ২০১৬ সালের তা পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জিটুজি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৬ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া গেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২ জন শ্রমিক পাঠায় বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মাহাথির মোহাম্মদ যতদিন মালয়েশিয়ার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন ততদিনই বাংলাদেশ তার কাছে থেকে উপকৃত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি সবসময়ই তার দয়া ও ভালোবাসার দৃষ্টি ছিল।

About admin

Check Also

কিউশুতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্যোগের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে

 জাপানের কিউশুতে বুধবার প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত আবারও আঘাত হানছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ভূমির উপরিভাগ আলগা করে দেয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *