ইডেন গার্ডেন্সের সাথে পরিচয় সেই এতটুকু থাকতে। কখনো কি ভাবতে পেরেছেন বিশ্বের অন্যতম মর্যাদার এই স্টেডিয়ামের কোনো স্ট্যান্ডের নাম হবে ’সৌরভ গাঙ্গুলী স্ট্যান্ড’? ভাবেননি সৌরভ। যেটা এখন বাস্তবতা। রোববার তার ঘরের মাঠের একটি গ্যালারির নাম হয়ে গেল নিজের নামে। সৌরভের বিহবলতা যেন কাটতেই চায় না! এই মাঠে প্রিন্স অব কলকাতার কতো স্মৃতি। মনে আছে কবে কখন সেই ছেলেবেলায় বাবার হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে মাঠের সবুজ ঘাসে পা রেখেছিলেন। ভোলেননি ১৯৮৭ বিশ্বকাপের বলবয় ছিলেন। এখানে ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রথমবার ব্যাট হাতে নামা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি, সব স্মৃতিতে তরতাজা।
এইসব স্মৃতি যেন সিনেমার ফ্ল্যাশব্যাকের মতো রোববার একসাথে সৌরভের চোখের সামনে উড়তে শুরু করলো। তখন আরেক কিংবদন্তি কপিল দেব রিমোটে হাত রেখেছেন। গোটা স্টেডিয়াম তাদের ‘দাদা’র জন্য গর্বে চিকচিক করছে। ইংল্যান্ড ও ভারতের সিরিজের শেষ ম্যাচের খেলোয়াড়রাও তাকিয়ে। আর মাঠেই উপস্থিত সৌরভ সবকিছু দেখেন, কিন্তু ঘোর লাগা চোখে। কপিল রিমোটে প্রেস করতেই একটি ব্লকের গ্যালারিতে ভেসে ওঠে আলো ঝলমলে ‘সৌরভ গাঙ্গুলী স্ট্যান্ড’ লেখা।
আরো অনেক পরে সৌরভ সেই ঘোর কাটিয়ে বলছিলেন, ‘মাঠে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখে অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছিল।’ সৌরভ এখন কলকাতার ক্রিকেটের প্রাণপুরুষও বটে। বেঙ্গল ক্রিকেট সংস্থার সর্বেসর্বা। মানে ইডেন তার হাতেই। এখানেই সৌরভের উদ্যোগে এদিন সাবেক অধিনায়ক এমএস ধোনিকে সংবর্ধনা দেওয়া হলো। কলকাতার আরেক কিংবদন্তি জগমোহন ডালমিয়ার নামেও স্ট্যান্ড হলো এদিন। হলো বিখ্যাত বাঙালী পঙ্কজ রায় ও বিশ্বনাথ দত্তের নামেও। এসব কিছুর শুরু সৌরভের হাত ধরেই।