পূর্বানুমানের চেয়ে বেশি হারে উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্বের সাগরগুলো। আর এর ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে দ্রুত। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘সায়েন্সে’ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উত্তপ্ত হওয়ার কারণে বরফ ও হিমবাহ গলে সাগরে পানির স্তর বাড়ছে। চলতি শতকের শেষ নাগাদ সাগরে পানির স্তর ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তপ্ত সাগরের কারণে ঝড়, হারিকেন ও প্রবল বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়ছে।
গবেষণাপত্রের সহযোগী লেখক জেক হাউসফাদার বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হচ্ছে সাগর তপ্ত হওয়া এবং আমরা যা ভেবেছিলাম তারচেয়ে দ্রুত সাগর যে তপ্ত হচ্ছে সে সংক্রান্ত বলিষ্ঠ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত চারটি গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় ৯৩ শতাংশ অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন হচ্ছে। আর এই তাপ শুষে নিচ্ছে সাগরগুলো।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিশ্বের সাগরগুলোর উপরিভাগের দুই হাজার মিটারের তাপমাত্রা চলতি শতকের শেষ নাগাদ শূন্য দশমিক ৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এর ফলে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় সাগরে পানির স্তর ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে।