ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি ক্যারিবিয় ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে উইকেট। চতুর্থ ওভারে ১৩ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নেন স্টিভেন ফিন-ক্রিস ওকসরা। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জেসন হোল্ডারদের। ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে জোনাথান কার্টারের ব্যাট থেকে। ৭৭ বলে ৪৬ রান করে তিনি। ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা আলজারি জোসেফ ১৩ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের চার পেসার মিলে নিয়েছেন নয় উইকেট। ওকস ৮ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৩ উইকেট পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেটও। ৮ ওভারে তার খরচ ২৭ রান। ফিন ৩৫ রানে ২ টি এবং বেন স্টোকস ২৭ রানে ১ টি উইকেট নেন। বাকি উইকেটটি গিয়েছে স্পিনার আদিল রশিদের ঝুলিতে।
এর আগে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয় দলনায়ক হোল্ডার। দ্বিতীয় উইকেটে হেলস ও রুটের ১৯২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় থ্রি লায়ন্সরা। হেলস ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০৭ বলে ১১০ রান করেন ৯ চার ও ৫ ছয়ে। রুট তার সাম্প্রতিক দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখে হাঁকান ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। সবশেষ ১২ ইনিংসে এটি তার নবম পঞ্চাশোর্ধ স্কোর। আউট হওয়ার আগে ১০৮ বলে করেছেন ১০১ রান। পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইংলিশদের বড় সংগ্রহটা আরো বড় হয় নি। হেলস-রুটের শতরানের পর স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
ক্যারিবিয় পেসার আলজারি জোসেফ ৭৬ রানে নেন ৪ উইকেট। অধিনায়ক হোল্ডার ৩ উইকেট পেয়েছেন ৪১ রানে। অ্যান্টিগায় প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৪৫ রানে। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তারা হারিয়েছিল ৪ উইকেটে।