জাপানে খননকৃত প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসাবে তরো উল্লেখযোগ্য, যা প্রথম শতাব্দীর সাধারণ যুগের (CE) ইয়াও-যুগের (Yayoi-era) যেখানে ভেজা-চালের ধান ক্ষেত পাওয়া যায়। ইয়াও-যুগেকে প্রায় ২০০০ বছর পুরাতন সভ্যতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোলাবারুদ কারখানা তৈরির চেষ্টা চলাকালীন সময়ে সাধারণ যুগের প্রথম শতাব্দীর গ্রামের প্রত্নতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয় এখানে। আরও অনুসন্ধান (যুদ্ধের পর) করে, প্রচুর শিল্পকর্ম, ভিত্তি স্থাপনের চিহ্ন, ব্যাপক ধানি জমি এবং এমনকি সেচ পদ্ধতির প্রমাণ মেলে সেখানে। জাপানের প্রথম ধান উৎপাদনের শুরু এখান থেকে বলে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন।
জাপানের সিজোওকা প্রিফেকচারের সিজোওকা শহরে এটির অবস্থান। জাপান সরকার কর্তৃক স্বীকৃত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থান।
বহু গবেষক, লেখক ও সাধারণ দর্শনার্থী এখানে আসে অতীতের এক অদেখা এই সভ্যতাকে দেখতে।
তরো সাইটটি প্রায় ২০০০ বছর আগে চীন থেকে নতুন প্রযুক্তির সাথে জাপানের আসল আদিবাসী এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সাথে মিলিত হওয়া দেখায়। প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ জুড়ে পলিনেশিয়া পর্যন্ত ধান ও খাদ্য সংগ্রহস্থলের কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস বহন করে তরো সাইটটি। কাঠামোগুলি কাঠের, সংগ্রহস্থলের বাড়ি গুলো বানানো হয়েছে প্রায় একই রকম ভাবে। এটি আবিস্কারের ফলে কৃষি উৎপাদন ও সামাজিক উন্নয়নের ব্যাপক উন্নতি সম্ভব হয় বলে গবেষকরা মনে করেন। তরো আরও প্রমান দেয় যে ইয়াও-যুগে জাপানের প্রস্তর যুগের শেষ হয়, কারণ চীন থেকে আনা লোহা ব্যবহার করা চালু করা হয়েছিল সে সময়ে যা আরও উৎপাদনশীলতাকে বাড়িয়ে তুলেছিল।
সাইটটি (বারো ঘর, দুটি উত্থাপিত ভবন এবং আরও সম্ভবত যা আবিষ্কার করা হয়েছে তাও রয়েছে) একটি পাবলিক পার্ক হিসাবে কাজ করে যেখানে কেউ রঘুরতে যেতে পারে এবং এলাকার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
জাপান-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব গেল রোববার ২৪ নভেম্বর ২০১৮ সেখানে গিয়েছিল একটা শিক্ষা সফরে। ক্লাবের দশজন সদস্য সেই সফরে অংশগ্রহণ করেন। সফরের অংশ হিসাবে তারা তরো উদ্যান এবং তরো জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সফরে জাপান-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব এর সাভাপতি প্রবীর বিকাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক পি আর প্লাসিড, উপদেস্টা আরশাদ উল্লাহ্ প্রমুখ অংশ নেন। ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য নিয়াজ আহমেদ জুয়েল তরো সাইটটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখান সদস্যদেরকে।