কয়েকটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে গুগল। সোমবার ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় গুগল। বিভিন্ন দেশের সরকার সংস্থাটির কাছে তথ্য চেয়ে যে অনুরোধ পাঠায়, তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে নিয়মিত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে গুগল। গুগলের প্রকাশিত এই ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনটি গত বছরের শেষ ছয় মাসের, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বরের। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছরের শেষ ছয় মাসে মোট দু’বার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুগলকে অনুরোধ জানানো হয়। প্রথমবার না হলেও পরের বার বাংলাদেশের সেই অনুরোধে সাড়া দেয় গুগল। প্রথমবার তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। অবশ্য পরে চারটি অনুরোধে নয়টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে তা সরবরাহ করে গুগল।
গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেষ চারটি অনুরোধ ‘ইমারজেন্সি ডিসক্লোজার রিকোয়েস্ট’ হওয়ায় তা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম তিনটি ‘লিগ্যাল রিকোয়েস্ট’ হওয়ায় তা সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের শেষ ছয় মাসে গুগলের কাছে ৪০ হাজার ৬৭৭টি অনুরোধ জমা পরে। সেখানে ৮১ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। অবশ্য ঐ বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৯ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় ৩৫ হাজার অনুরোধের মাধ্যমে।
এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে আগে তথ্য চেয়ে গুগলের স্মরণাপন্ন হওয়ার হার কম হলেও বর্তমানে তা অনেক বেড়ে গেছে। এ ব্যাপারে সংস্থাটি বলছে, গুগলের ব্যবহার ক্রমেই বাড়তে থাকায় ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়ার পরিমাণও বাড়ছে। তথ্য চাওয়ার দিক থেকে ১২ হাজার ৫২৩টি অনুরোধ করে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ৭ হাজার ৪৯১টি অনুরোধ করে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স রয়েছে তৃতীয় স্থানে এবং যুক্তরাজ্যের অবস্থান চতুর্থ।