আয়তনে এটি প্রায় ৩০টি ফুটবল খেলার মাঠের সমান। প্রায় ১৮ কোটি ডলার ব্যয়ে চীনের নির্মিত দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী এই রেডিও টেলিস্কোপটি এখন মহাকাশে প্রাণের সন্ধান করবে! রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে ৫শ’মিটার ব্যসের এই রেডিও টেলিস্কোপের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয় চীন। ফাস্ট (The Five-hundred-meter Aperture Spherical Telescope) নামের এই রেডিও টেলিস্কোপ দূর মহাকাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলেও বার্তা প্রেরণ ও সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা শিনহুয়া।
এ’দিন দুপুর থেকে রেডিও টেলিস্কোপটি পুরোদমে কাজ শুরু করে। মহাকাশে বুদ্ধিমান প্রাণীর সন্ধানে পৃথিবীতে যত রেডিও টেলিস্কোপ কাজ করছে, এটি তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি বেইজিং’এর। চীনের গুইঝু প্রদেশে নির্মিত বিশাল আকৃতির এই রেডিও টেলিস্কোপটি প্রায় ৪ হাজার মেটাল (ধাতু) প্যানেল জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি করতে ব্যয় হয় ৫ বছরেরো বেশি সময়। এতো বিশাল এলাকায় রেডিও টেলিস্কোপটি নির্মাণের কারণে অন্তত ১০ হাজার স্থানীয় মানুষকে সরে যেতে হয়। গেলো জুলাইয়ে নির্মাণকাজ শেষ হলেও পরবর্তী নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই ক’দিন কেটে যায়। চীনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের পুয়ের্তো রিকো’য় আরেসিবো মানমন্দিরের চাইতেও এটি আরো দূর মহাকাশে বার্তা পাঠাতে পারবে। ষাটের দশকে নির্মিত ৩শ’ ৫মিটার ব্যসের ওই রেডিও টেলিস্কোপই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিসেবে পরিচিত ছিল।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং’এর নির্দেশে মহাকাশ গবেষণাকে ব্যপক অগ্রাধিকার দিয়েছে চীন। যতো দ্রুত সম্ভব দেশটি মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের বুকে অন্যতম শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। এজন্যে বৃহৎ মানমন্দির নির্মাণ ছাড়াও মহাকাশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা চলছে পুরোদমে। বেইজিংয়ের ইচ্ছে, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে পৃথিবার বাইরে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের। এছাড়া, ২০৩৬ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষও পাঠাতে চায় চীন। এরই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে দেশটি ‘জেড র্যাবিট’ নামের রোবটযান চাঁদে পাঠায়।