জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপ রাষ্ট্রদূত, কোরীয় উপদ্বীপের নিকটবর্তী সমুদ্রে একটি মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ মোতায়েনের সমালোচনা করেছেন। তা’ছাড়া তিনি, কয়েক দফা সাইবার হামলায় উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিঃ কিম ইন রিয়ং একথা বলেন।মিঃ কিম, কোরিয়া উপদ্বীপের কাছে সামরিক মহড়ার জন্য মোতায়েন রত “ইউএসএস কার্ল ভিনসন” এবং তার আঘাত হানার নৌবহরের কথা উল্লেখ করছিলেন। তিনি বলেন যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার পরও অত্যধিক মার্কিন সামরিক প্ররোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এতে করে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে আগ্রাসনের হোতা।
মিঃ কিম উত্তর কোরিয়ার এই অবস্থানের পুনরুল্লেখ করেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার প্রতি তার বৈরী নীতি এবং পরমাণু হুমকি পরিত্যাগ না করলে এরূপ কার্যক্রম উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। মিঃ কিম, সাইবার হামলার পিছনে উত্তর কোরিয়ার হাত আছে এরূপ অভিযোগকে “হাস্যকর” বলে অভিহিত করে তা’ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন যে, অস্বাভাবিক কিছু ঘটলেই যুক্তরাষ্ট্র এবং বৈরী শক্তিগুলো উত্তর কোরিয়া বিরোধী সরব তৎপরতা শুরু করে।
মিঃ কিম, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার প্রতি চীন এবং রাশিয়ার সমর্থনের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, ঐতিহ্যগত ভাবে উত্তর কোরিয়ার সাথে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, এবং তারা মার্কিন পারমানবিক হুমকির মোকাবিলা অব্যাহত রাখার উত্তর কোরিয়ার নীতি অনুধাবন করে।