সম্প্রতি রাশিয়া এমন এক সুপারসনিক যান আবিষ্কার করেছে, যা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপে সক্ষম। এই আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিমানটির নাম রাখা হয়েছে পাক-ডিএ রুশ গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, মহাকাশ যানটির গতি শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি হবে। ফলে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ঘুরে আসতে যানটির সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী কর্নেল অ্যালেক্সি সোলোভনিকেভ জানিয়েছেন, এটি আবিস্কার করেছে মস্কোর পিটারে অবস্থিত স্ট্রাটেজিক রকেট ফোর্স একাডেমি।
বিমানটি এতটাই শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর যে মাত্র দুই ঘণ্টায় পৃথিবীর যেকোনো স্থানে পারমাণবিক বোমা ফেলে আবার ঘাঁটিতে ফিরে আসতে পারবে। আগামী ২০২০ সালে মহাকাশযানটির পুরো কাজ শেষ হবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি টেকনোলজি ফোরামে (International Military Technology Forum) এ বিমানটির ইঞ্জিন উম্মুক্ত করা হবে। নির্মাতারা জানিয়েছেন, যানটি আকাশে এবং মহাকাশে দুই জায়গাতেই সমানভাবে উড়তে পারবে। এজন্যে অবশ্য মহাকাশযানটি দুধরনের জ্বালানি ব্যবহার করবে। সাধারণ বিমানের মতো ওড়ার সময় এটি পেট্রোল বা গ্যাসোলিন ব্যবহার করবে। আর মহাশূন্যে বিচরণের সময় ব্যবহার করবে মিথেন ও অক্সিজেন।
ব্রিটেনেও ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে এই ধরনের বিমান তৈরি করেছে। তারানিস নামে এ বিমানটি শব্দের চেয়ে দুই গুণ গতিসম্পন্ন। ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার আবিষ্কৃত বিমানটির কাছাকাছি মানের হবে এটি। এটিও সাধারণ বিমানের মতো চলতে পারবে এবং প্রয়োজনে সুপারসনিক গতি তুলতে পারবে। তবে এটি মহাশূন্যে চলার সক্ষমতা এখনও অর্জন করতে পারেনি।