গুণী শিল্পী ও সুরকার লাকী আখন্দ আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অনেক দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এ সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। শুক্রবার দুপুরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর আরমানিটোলার বাসা থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লাকী। তার পারিবারিক একটি সূত্র মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর জীবন থেমে গেল ৬১-তে এসে।
গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে লাকী আখন্দের।এরপর ঢাকা থেকে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পর তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। এরপর বারবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ আড়াই মাস হাসপাতালে থাকার পর গত সপ্তাহে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা এই কণ্ঠশিল্পীর চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকেও সহায়তা করা হয়েছিল।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন লাকী আখন্দ। ওই অ্যালবামের ‘এই নীল মণিহার’,‘আমায় ডেকো না’,‘রীতিনীতি জানি না’, ‘মামনিয়া’,‘আগে যদি জানতাম’গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এই গুণী শিল্পী। এক দশক পর ১৯৯৮ সালে ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ।